নিরঞ্জনকে ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার কারণ বলতে গিয়ে আফজাল ভয়ংকর এক অদ্ভুত গ্রাম পাতালিয়ার গল্প শোনায়। সেই গ্রামের শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ, সবাই ‘পাউডার’-এ আসক্ত। তারা হাঁ করলেই দেখা যায়, তাদের জিবের রঙ কুচকুচে কালো। সেই পাতালিয়ায় আফজাল আর তার সহকারী মিজান গিয়েছিল ‘পাউডার’–এর মার্কেট যাচাই করতে। কিন্তু তারা পৌঁছামাত্র ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। আফজাল আর মিজান কিসের মুখোমুখি হয়েছিল সেখানে? তারা কি ফিরে এসেছিল?
পাতালিয়া থেকে ফিরে আসে আফজাল। কিন্তু কেউ জানে না, আসলে কী ঘটেছিল সেখানে। ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করতে মিজানের নামে মিথ্যা অর্থ আত্মসাতের নাটক সাজায় আফজাল। আর এই মিথ্যা নাটক সাজানোর কেন্দ্রে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই জনপ্রিয় একজন ইনফ্লুয়েন্সার। আফজালের গল্প শেষ হলে নিরঞ্জন তাকে এক মহল্লার মানুষদের সম্মিলিত সুবিধাবাদের কাহিনি শোনায়। যে মহল্লায় একসময় নিরঞ্জনও বাস করত।
কী করলে তাহলে আফজালের এই ভাইরাস থেকে মুক্তি মিলবে? নিরঞ্জন তখন আফজালকে নিয়ে আরেকটা কাহিনিতে প্রবেশ করে। অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন এক মেয়েশিশুর সঙ্গে হতে যাওয়া অন্যায় থামাতে গিয়ে নিরঞ্জন কীভাবে তার বাক্শক্তি ফিরে পেয়েছিল সেই গল্প। ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় খুঁজতে গিয়ে নিরঞ্জনের কাছ থেকে প্রায়শ্চিত্তের ইশারা পায় আফজাল।
আফজাল বুঝতে পারে কী করতে হবে তার। সে শহরে ফিরে আসে। মিজানের ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছিল যে জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার, সেই মি. গ্রিনকে অপহরণ করা হয়। এক অন্ধকার ঘর থেকে ফেসবুক লাইভ শুরু হয়। মি. গ্রিনকে আটকে রাখা হয়েছে সেই ঘরে। তার ওপরে প্রচণ্ড অত্যাচার আর নির্যাতন চলে। মি. গ্রিনের সব মিথ্যা প্রকাশ করা হতে থাকে আস্তে আস্তে। মানুষ বুঝতে পারে তথাকথিত ইনফ্লুয়েন্সাররা আসলে পরজীবী। কিন্তু মি. গ্রিন কি জীবিত বের হতে পারবে ওই ঘরে থেকে, নাকি তাকে সত্যি সত্যিই মেরে ফেলা হবে? সারা দেশের মানুষ আতঙ্ক নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে কী হয় তা জানার জন্য।
সব সত্য স্বীকার করে নেয় মি. গ্রিন। পাতালিয়ার ঘটনা ও মিজানের সঙ্গে কী হয়েছিল, তা মানুষের কাছে প্রকাশ করে। আফজাল বুঝতে পারে, তার প্রায়শ্চিত্ত শেষ। সে টের পায় ভাইরাস তাকে ছেড়ে যাচ্ছে। সে সুস্থ হচ্ছে। নিরঞ্জনকে খুঁজতে বের হয় আফজাল। তবে এ দুই দিনের দুনিয়ায় মানুষ পাপ ছাড়তে পারে না সহজে। তাই ভাইরাসও মানুষকে ছাড়ে না। এক পাপী ভালো হলেও ভাইরাস তখন আরেক পাপীকে গিয়ে ধরে।